পুঁজিবাজারের সংস্কার হলো একটি জটিল প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে কোনো দেশের পুঁজিবাজারকে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগকারী-বান্ধব করে তোলা হয়। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারও এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
কেন পুঁজিবাজারের সংস্কার প্রয়োজন?
- বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়ানো: স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নিয়ম-কানুনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা।
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: পুঁজিবাজারকে দক্ষ করে তোলায় দেশের কোম্পানিগুলো সহজে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারে এবং এভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে পুঁজি সরবরাহ: পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে পুঁজি সরবরাহ করে দেশের শিল্পায়ন ও উন্নয়নকে গতিশীল করা।
- দারিদ্র্য হ্রাস: পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ দারিদ্র্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশে পুঁজিবাজার সংস্কারের প্রধান লক্ষ্য
- স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা: কোম্পানিগুলোর আর্থিক তথ্য স্বচ্ছভাবে প্রকাশ এবং তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোকে আরও শক্তিশালী করে বাজারে অনিয়ম রোধ করা।
- বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা: বিনিয়োগকারীদের অধিকার রক্ষা এবং তাদেরকে প্রতারণা থেকে রক্ষা করা।
- বাজারে তরলতা বাড়ানো: বাজারে যাতে সহজে শেয়ার কেনাবেচা করা যায় সেজন্য তরলতা বাড়ানো।
- পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য ও পরিষেবা চালু করা: বাজারকে আরও আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় করে তোলার জন্য নতুন পণ্য ও পরিষেবা চালু করা।
সংস্কারের প্রধান পদক্ষেপসমূহ
- নিয়মকানুন সংশোধন: পুঁজিবাজারের নিয়মকানুনকে আধুনিকায়ন করে তোলা এবং তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করা।
- প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানো: পুঁজিবাজারে প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়িয়ে কার্যক্রমকে আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করা।
- বাজারে সচেতনতা বৃদ্ধি: সাধারণ জনগণের মধ্যে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানো: বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও ভালো পরিবেশ সৃষ্টি করা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিএসইসি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করে পুঁজিবাজারকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে।