ঢাকা, ২৮ মে: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রচণ্ড আঘাতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ক্ষেত। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে দুর্ভোগের সীমা নেই উপকূলবাসীর।
সরকারি হিসেবে প্রায় ৩৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও ফসলি জমিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতির পরিমাণ কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বীমা খাতে বড় ধাক্কা
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বীমা খাতে ব্যাপক পরিমাণ দাবি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, গৃহস্থালি, ব্যবসায়িক ও সামুদ্রিক বীমার ক্ষেত্রে দাবির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি নিষ্পত্তি করার কাজ শুরু করেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের ফলে বীমা খাতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। তবে বীমা কোম্পানিগুলো আশাবাদী যে, তারা এই ক্ষতি সামাল দিতে পারবে।
জনসচেতনতা ও প্রস্তুতি জরুরি
এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বীমা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই দেশের সকল নাগরিককে বীমার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সরকার ও বীমা কোম্পানিগুলোকে একযোগে কাজ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের ওয়েবসাইটে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বীমা দাবির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বা আমাদের হটলাইনে ফোন করে বিস্তারিত জানতে পারেন।