তথ্য আদান প্রদানের ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়
বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য আদান প্রদানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বীমা ও স্টক মার্কেটের মতো সংবেদনশীল খাতে তথ্যের সুরক্ষা ব্যবসার স্থায়িত্ব ও গ্রাহক আস্থার জন্য অপরিহার্য। তবে, তথ্য আদান প্রদানের সময় নানা ধরনের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে এই ঝুঁকিগুলো মোকাবেলায় কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
১. সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা:
বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের ঘটনা ক্রমবর্ধমান। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সাইবার হামলার সংখ্যা ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী ফায়ারওয়াল, এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ও এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
২. কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি:
মানবিক ত্রুটি তথ্য সুরক্ষায় বড় প্রতিবন্ধক। বীমা ও স্টক মার্কেটের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ প্রদান করা উচিত। এতে কর্মীরা ফিশিং আক্রমণ, ম্যালওয়্যার ইত্যাদি থেকে সাবধান থাকতে শিখবে।
৩. তথ্য গোপনীয়তা নীতি গ্রহণ:
বাংলাদেশে তথ্য গোপনীয়তা রক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন প্রণয়ন হয়েছে, যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই আইন মেনে চলতে হবে এবং গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কঠোর নীতি গ্রহণ করতে হবে।
৪. নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট ও মনিটরিং:
তথ্য আদান প্রদানের সিস্টেমের দুর্বলতা শনাক্ত করতে নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট পরিচালনা করা জরুরি। বাংলাদেশে বড় বড় স্টক ব্রোকারেজ ফার্মগুলো ইতিমধ্যেই এই ধরনের অডিট গ্রহণ করছে, যা তথ্য সুরক্ষায় সহায়ক।
৫. দু’ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) ব্যবহার:
ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে দু’ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন প্রয়োগ করা উচিত। এতে অজানা ব্যক্তিরা সহজে অ্যাক্সেস করতে পারবে না।
উপসংহার:
তথ্য আদান প্রদানের ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বীমা ও স্টক মার্কেটের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং গ্রাহকদের আস্থা বজায় রাখতে পারে। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার উন্নয়ন এই ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।