নন ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি কি কি?
বর্তমান যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে অনেক ব্যবসা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। তবে, নন ডিজিটাল মাধ্যম বা প্রচলিত পদ্ধতিগুলো এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে, যেমন বীমা ও স্টক মার্কেটে, নন ডিজিটাল মাধ্যমের কিছু বিশেষ ঝুঁকি বিদ্যমান যা সচেতন হওয়া জরুরি।
১. মানবিক ত্রুটি (Human Error):
নন ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার সময় ডকুমেন্টেশন বা হিসাবনিকাশে মানবিক ভুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। উদাহরণস্বরূপ, বীমা পলিসি তৈরির সময় ভুল তথ্য এন্ট্রি হলে তা ক্লায়েন্টের দাবি প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
২. তথ্য সুরক্ষার অভাব (Lack of Data Security):
কাগজপত্রে তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চুরি, ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশের কিছু বীমা সংস্থায় কাগজপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট ব্যবস্থা না নিলে গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।
৩. তথ্য হ্রাস ও বিলম্ব (Data Loss and Delays):
নন ডিজিটাল মাধ্যমের কারণে তথ্য দ্রুতগতিতে হালনাগাদ বা প্রেরণ করা সম্ভব নয়। স্টক মার্কেটে, দ্রুত তথ্য প্রবাহ না থাকলে বিনিয়োগকারীরা সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হতে পারেন, যা তাদের বিনিয়োগে ক্ষতি করতে পারে।
৪. খরচ বৃদ্ধি (Increased Costs):
কাগজপত্রের ব্যবহার ও ম্যানুয়াল প্রসেসিংয়ের ফলে অপারেশনাল খরচ বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, বীমা কোম্পানিগুলোকে কাগজপত্র সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়, যা তাদের মুনাফাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৫. সীমিত অ্যাক্সেস ও কভারেজ (Limited Access and Coverage):
নন ডিজিটাল মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য ও সেবার অ্যাক্সেস সীমিত থাকে। গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষদের জন্য বীমা বা স্টক মার্কেটের তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারে অসুবিধা হয়, যা তাদের আর্থিক সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
উপসংহার:
নন ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার নির্দিষ্ট ঝুঁকি বহন করে, বিশেষ করে বীমা ও স্টক মার্কেটের মতো সংবেদনশীল খাতে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ঝুঁকিগুলো মোকাবেলার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির দিকে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা আরও কার্যকরী ও নিরাপদ সেবা প্রদান করতে পারে।