রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা ২০২৪

Spread the love

বীমা আইন, ২০১০ এর বিভিন্ন ধারায় বিধি বা প্রবিধান করার কথা উল্লেখ থাকায় বীমা সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইনের খারায় বিধৃত বিখি/প্রবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে ১০ দেশ)টি বিধি ও ২০ (বিশ)টি প্রবিধান গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
“্বীমাকারী রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা, ২০২৪, এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে (সংযুক্ত) প্রস্তুতকৃত
খসড়া প্রবিধানমালার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজন/বিশেষজ্ঞ/জনসাধারণের সুচিন্তিত মতামত আগামী ১৮ মার্চ ২০২৪ তারিখের
মধ্যে সফট কপি (মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে নিকস ফন্টে এবং হার্ডকপি (পিডিএফ) বর্ণিত ই-মেইলদয়ে
(0109719%/0১101-9.070.00. 1)011751091)17)১070911.000) প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ
করা হলো।

২.০… উল্লেখ্য, বর্ণিত দুইটি ই-মেইল ব্যতিত সরাসরি হার্ডকপি গ্রহণযোগ্য নয় এবং বর্ণিত তারিখের মধ্যে ই-মেইল দুইটিতে
মতামত না পাওয়া গেলে আপত্তি/মতামত নাই মর্মে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সংযুক্তি: বর্ণনামতে।

ফোন: ০২- ৪১০৫১৩৮৫

 

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ
৩৭/এ, দিলকুশা কমার্শিয়াল এরিয়া, ঢাকা।

এস. আর. ও. নং…/২০২৪। বীমা আইন, ২০১০ এর ধারা ২৭ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ধারা ১৪৮ এ প্রদস্ত ক্ষমতাবলে, কর্তৃপক্ষ,
সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে নিম্নরূপ প্রবিধানমালা প্রণয়ন করিল, যথা।
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রর্বতন। (১) এই প্রবিধানমালা বীমাকারী রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা, ২০২৪
নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কাযর্কর হইবে।
২। সংজ্ঞা। (১) বিষয় বা প্রসঙ্চোর পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই প্রবিধানমালায়-
(কে) “আইন” অর্থ বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সালের ১৩ নম্বর আইন);
(খ) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ বীমা আইন, ২০১০ ধারা ২ ১০) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ;
(গে) “ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল” অর্থ ফাইনা্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৩ এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল;
(ঘে) “ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং সটযান্ডার্ডস” অর্থ ফাইনালসিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২ (২১) এর আওতায় প্রণীত
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস |
(২) এই প্রবিধানমালায় যেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হইয়াছে কিন্তু সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা প্রদান করা হয় নাই সেই সকল
শব্দ বা অভিব্যক্তি বীমা আইনে যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে, এই প্রবিধানমালায়ও উক্ত অর্থে প্রযোজ্য হইবে;
৩। ফাইনাব্দিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড পরিপালন।- আইনের ধারা ৩২৫৪) এর বিধান পরিপালনার্থে সকল বীমাকারী ফাইনান্সিয়াল
ং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায় ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত ও বীমাকারীর জন্য ফাইনাল্সিয়াল
রিপোর্টিং সটযানডার্ডসমূহ অনুসরণপূর্বক সকল হিসাবাদি প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করিতে হইবে।

8। রাজস্ব , লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রস্তুতকরণ।- (ক) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায়
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত ও বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যানডর্ডসমূহ
অনুসরণপূর্বক লাভ-ক্ষতির হিসাব ও রাজন্থ হিসাব প্রস্তুত করিবে। রাজস্ব হিসাব প্রন্তুত করিবার জন্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং
্ট্যানডার্ডস সংশ্লিষ্ট ছক ব্যবহার করিতে হইবে।

(খে) ফাইনাল্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায় ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত ও
বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্ান্ডার্ডসমূহ অনুসরণপূর্বক এবং এর সংশ্লিষ্ট ছক অনুযায়ী স্থিতিপত্ প্রস্তুত করিতে
হইবে।
৫। ইসলামী বীমা ব্যবসার হিসাব।- বীমাকারী বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ৭ এর আওতাধীন একইসাথে প্রচলিত বীমা ব্যবসা ও
ইসলামী বীমা ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি প্রাপ্ত হইলে প্রবিধি ৩ ও ৪ পরিপালনপূর্বক ইসলামী বীমা
ব্যবসার হিসাব এবং প্রচলিত বীমা ব্যবসার হিসাব রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রে পৃথকভাবে উপস্থাপন করিতে হইবে।
৬। শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি গ্রাহকদের তহবিল সংরক্ষণ।- ফাইনাল্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায়
ফাইনা্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত ও বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ার্ডসমূহ
অনুসরণপূর্বক বীমাকারী কর্তৃক শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি হোল্ডারদের তহবিল পৃথকভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে।

কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে,

চেয়ারম্যান
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *