মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে সংক্ষেপে কিছু প্রধান কারণ এবং উদাহরণ দেয়া হলো:
১. বনচ্ছেদন (Deforestation):
উদাহরণ: জঙ্গল কেটে ফেলা হলে মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ভারী বৃষ্টিতে পানি সরাসরি নদীতে প্রবাহিত হয়, যার ফলে নদী বেগবান হয়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।
২. নগরায়ন ও কংক্রিটায়ন (Urbanization and Paving):
উদাহরণ: শহরগুলিতে রাস্তা, বিল্ডিং ও অন্যান্য স্থাপনা বাড়ার ফলে জমির শুষ্কতা কমে যায়। ভারী বৃষ্টিতে পানি জমতে পারে না এবং দ্রুত নদীতে প্রবাহিত হয়ে বন্যা ঘটাতে পারে।
৩. নিষ্কাশন ব্যবস্থার দুর্বলতা (Poor Drainage Systems):
উদাহরণ: অনেক শহরে ছাদের পানি ও বয়লা সঠিকভাবে নিষ্কাশন করা হয় না। এতে বৃষ্টির সময় পানি জমে বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৪. নদী ও জলাভূমি দূষণ (River and Wetland Pollution):
উদাহরণ: নদীতে বর্জ্য ও ময়লা ফেলা হলে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে পানি সঠিকভাবে নির্গত না হয়ে নদী বন্যা হতে পারে।
৫. অবৈধ নির্মাণ (Illegal Construction):
উদাহরণ: বন্যা প্রবণ এলাকায় অবৈধভাবে বাড়ি বা ব্যবসা স্থাপন করলে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়, যা বন্যার সম্ভাবনা বাড়ায়।
উপসংহার:
মানুষের অবিচেতন কর্মকাণ্ডের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা বন্যার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। সঠিক পরিকল্পনা ও পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব।